ফুচকা : সুতপা মুখার্জ্জী

ফুচকা
আলু মাখা
টক জল
তেঁতুলের চাটনি
ভাজা গুঁড়ো
দই
[ সমস্ত এক সাথে ]

ফুচকা

উপকরণ :-
১. দিল্লী র আটা বা বি আটা – ৩ কাপ ।
২. সুজি – ১ কাপ
৩. সাদা তেল – ২৫০ গ্রাম।
প্রণালী :-
প্রথমে এক টা মসৃণ মণ্ড তৈরি করতে হবে । তারজন্য একটা পাত্রে আটা ও সুজি এক সাথে নিয়ে , জল দিয়ে একটু শক্ত শক্ত করে মেখে নিয়ে একটা মণ্ড তৈরি করে নিতে হবে । তারপর সেই মণ্ড টা কে ভিজে রুমাল চাপা দিয়ে ৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে, যাতে সুজি ভালো ভাবে ভিজে গিয়ে আটার সাথে মিশে যায়।

৩ ঘণ্টা পর সেই মেখে রাখা আটা থেকে ছোটো ছোটো করে লেচি কেটে নিতে হবে। এক এক টা করে লেচি নিয়ে গোল পাকিয়ে বি – আটা তে ডুবিয়ে নিয়ে একটু পাতলা পাতলা করে বলে নিতে হবে এবং ফুচকার সাইজ যাতে একই রকম হয় তার জন্য ছোটো কোন গ্লাস বা কৌটোর ঢাকনা দিয়ে গোল গোল করে কেটে নিতে হবে , এর পর যে আটা টা পড়ে থাকবে সেটা বার বার এক এ ভাবে বেলে নিয়ে ফুচকা কেটে ফেলুন ।

এবার কড়াই এ একটু বেশি পরিমাণ এ তেল গরম করে নিতে হবে । তেল যেনো একটু বেশি ই গরম হয় । এমন অবস্থায় একটা একটা করে ৪-৫ টা ফুচকা একসাথে তেলে দিয়ে খুন্তি দিয়ে নাড়িয়ে দিলে ই খুব সুন্দর করে ফুচকা গুলো ফুলে উঠবে । ফুচকা গুলো ফুলে উঠেছে পর ই আঁচ কমিয়া এপিঠ – ওপিঠ বেশ কিছুক্ষন সময় নিয়ে ভালো করে ভিজে তুলে নিতে হবে । এই ভাবে আঁচ বাড়িয়ে – কমিয়ে সব ফুচকা গুলো সোনালী রং করে ভেজে নিতে হবে।ফুচকা গুলো ঠাণ্ডা হওয়ার পর একটা চাপা ঢাকনা যুক্ত কৌটোয় ভরে রাখুন । মনে রাখবেন , ফুচকা যে দিন বানাবেন সেই দিন খাওয়ার থেকে পরের দিন খেলে বেশি ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। যত্ন করে কৌটো তে ভরে রাখলে ফুচকা গুলো ৫-৭ দিন পর্যন্ত একই রকম কুড় কুড়ে হয়ে থাকবে ।

[ অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে , ফুচকা বানানোর জন্য আটার মণ্ড তৈরির সময় তেল, বেকিং সোডা, বেকিং পাউডার,লবণ , কিছুই দেবার দরকার নেই।এমন কি ফুচকা গুলো বেলার সময় ও তেল ব্যাবহার করা যাবে না , বি – আটা ই ব্যাবহার করতে হবে]

আলু মাখা

উপকরণ:-
১. সেদ্ধ আলু – ৪ টি ।
২. মটর সেদ্ধ – অল্প কিছু।
৩. ছোলা ভেজানো – অল্প কিছু।
৪. পিয়াঁজ – কুচি করে কাটা ।
৫. কাঁচা লঙ্কা – কুচি করে কাটা ।
৬. ধনে পাতা – কুচি করে কাটা ।
৭. ভাজা গুঁড়ো মশলা – ৩ চামচ ।
৮. লবণ – স্বাদ অনুযায়ী ।
প্রণালী :-
সমস্ত উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে , এক সাথে মেখে নিলেই ফুচকার আলু মাখা তৈরি হয়ে যাবে ।

[ এর মধ্যে যে কোন উপকরণ স্বাদ অনুযায়ী বাড়িয়ে বা কমিয়ে নেওয়া যেতে পারে ।]

টক জল

১. তেঁতুলের কাঁথ – ৪ চামচ ।
২. ভাজা গুঁড়ো মশলা – ২ চামচ ।
৩. গন্ধরাজ লেবু – এক টুকরো ।
৪. লবণ – স্বাদ অনুযায়ী ।
৫. জল – এক গ্লাস
৬. লঙ্কা গুড়ো – স্বাদ অনুযায়ী ।
প্রণালী :-
সমস্ত উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে , ভালো করে ঘুলিয়ে নিয়ে , ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখার পর পরিবেশন করবেন ।

তেঁতুলের চাটনি

উপকরণ :-
১.তেঁতুলের কাঁথ – ১০ চামচ ।
২. লঙ্কা গুঁড়ো – ১ চামচ।
৩. লবণ – স্বাদ অনুযায়ী ।
৪. চিনি বা গুড় – স্বাদ অনুযায়ী ।
প্রণালী :-
সমস্ত উপকরণ একটি পাত্রে , একসাথে নিয়ে হাল্কা আঁচ এ ফুটিয়ে নিতে হবে ৫-৭ মিনিট।
যতক্ষণ চাটনি টা আঁচ এ ফুটবে ততক্ষণ একটা চামচ দিয়ে নাড়িয়ে যেতে হবে , যেন চাটনি তোলা থেকে না পুড়ে যায় ।

ভাজা গুঁড়ো মশলা

উপকরণ :-
১. মৌরী – ৪ চামচ ।
২ . জিরে – ৩ চামচ ।
৩ . ধনে – ২ চামচ ।
৪. জোয়ান – ১ চামচ ।
৫. রাঁধুনি – ১ চামচ ।
৬ . শুকনো লঙ্কা – ৪ টি ।
প্রণালী :-
সমস্ত উপকরণ একটি একটি করে শুকনো কাড়াই এ ভেজে নিয়ে একটা পাত্রে তুলে রাখতে হবে , তারপর একসাথে গুড়ো করে নিলেই ভাজা গুঁড়ো তৈরি হয়ে যাবে । এবার ভাজা গুঁড়ো মশলা টাকে একটা কৌটো তে তুলে রাখলে , ১ মাস পর্যন্ত ব্যাবহার করা যাবে ।

দই

উপকরণ :-
১. টক দই – ১০০ গ্রাম ।
২. ভাজা গুঁড়ো মশলা – ১ চামচ ।
৩. তেঁতুলের চাটনি – ২ চামচ ।
৪ . লবণ – স্বাদ অনুযায়ী ।
প্রণালী :-
সমস্ত উপকরণ একটা পাত্রে একসাথে নিয়ে এক টা চামচ দিয়ে ভালো করে
ফাঁটিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দই ফুচকা খাওয়ার দই ।

[ ফুচকা তে একটু বেশি পরিমাণ ভাজা গুঁড়ো মশলা ব্যাবহার করা হয় । ফুচকার আসল মশলাই হলো ভাজা গুঁড়ো মশলা । ভাজা গুঁড়ো মশলা ছাড়া ফুচকা অসম্পূর্ণ । ভাজা গুঁড়ো মশলা ফুচকা তে ব্যাবহার করার আর একটা বিশেষ সুবিধা হলো টক জল এর জন্য যদি কারো হজম এর সমস্যা হয়, টা হলে ভাজা গুঁড়ো মশলা খানিক টা ফুচকা হজম এ সহায়তা করে । ]