মনোরঞ্জন যশ, দুর্গাপুর :
প্রথম যখন বিশ্বের প্রতিটি দেশে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেছিল, তখন প্রতিটি দেশের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে দায়ী করা হয়েছিল চীনকে। চীনের পক্ষ থেকে এই ভাইরাস প্রথম এসেছে এবং তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। সেদিক থেকে সারাবিশ্বে যতগুলো রাজ্য আছে, তার মধ্যে ভারতের সঙ্গে বনিবনা নেই, এমন রাষ্ট্র প্রধানত দুটো। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, চীন এবং পাকিস্তান।
ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রবেশ করেছে। ভারতবর্ষ জুড়ে মহামারীর আকার ধারণ করেছে এই ভাইরাস। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে চীনের সাহায্য নিল পাকিস্তান। যেখানে ভ্যাকসিন তৈরি করবার জন্য চীনের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সমস্ত রকম সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে বলে খবর।
স্বাভাবিক ভাবেই মহামারী রোধে দুই দেশের কাছাকাছি চলে আসা এবং একে অপরকে সাহায্য করা, দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বিধ্বস্ত ভারতকে কিছুটা হলেও সমস্যার মুখে ফেলে দিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, চীনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই একটি ভ্যাকসিন প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। আর বর্তমানে সেই ভ্যাকসিন তৈরি করতে যে সমস্ত সরঞ্জাম লাগে, তা চীনের পক্ষ থেকে পাঠানো হচ্ছে পাকিস্তানকে।
অর্থাৎ পাকিস্তান এখন চীনের সাহায্য নিয়ে করোনা ভাইরাসকে রোধ করতে সম্পূর্ণরূপে সচেষ্ট হয়ে উঠেছে। আর দুই দেশের এইভাবে কাছাকাছি চলে আসা ভারতের ক্ষেত্রে যে খুব একটা সুখকর নয়, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য বিষয়ক বিষয়ক সহকারি ডঃ ফয়জুল সুলতান বলেন, “চীন আগে থেকেই পাকিস্তানের বন্ধু। পাকিস্থানে করোনা ভাইরাসের দাপট রুখতে তাই এগিয়ে এসেছে।
কাঁচামাল থেকে ভ্যাকসিন তৈরি সহজ কাজ নয়। যারা ভ্যাকসিন বানিয়েছেন, তাদের জন্য আমরা গর্বিত। করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের বন্ধু চীন সবচেয়ে কাছের।”অর্থাৎ এতদিন করোনা ভাইরাসের উৎসস্থল হিসেবে চীনকে দায়ী করতে শুরু করেছিল প্রতিটি দেশ। তবে এবার চীনের কাছ থেকে ভ্যাকসিন তৈরির সমস্ত সরঞ্জাম নিয়ে নিজেদের দেশ থেকে করোনা ভাইরাসকে বিলীন করতে উদ্যত হল পাকিস্তান। যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন, ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রবেশ করেছে। যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ভারতবর্ষে।
তবে বর্তমানে ভারত সরকার সবথেকে বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে। কো-উইন এবং কোভিশিল্ড, এই দুই প্রকার ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গোটা দেশে। আর তার মাঝেই চীনের সাহায্য নিয়ে পাকিস্তানের ভ্যাকসিন তৈরি দুই দেশকে যেমন কাছাকাছি করে দিল, ঠিক তেমনই দুই দেশের সঙ্গে বনিবনা না থাকা ভারতকে চিন্তাগ্রস্ত করে তুলল বলেই দাবি করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।