পদ্মশ্রী প্রাপক ১ টাকার মাস্টার মশাইকে নিয়ে, আলোর উৎসবে আসছে জনপ্রিয় তরুণ লেখক রাধামাধব মণ্ডলের তৃতীয় উপন্যাস…

একতারা বাংলা, নিউজ ডেস্ক :

কলকাতাঃ আগামী আলোর উৎসবে আসছে জনপ্রিয় তরুণ লেখক রাধামাধব মণ্ডলের তৃতীয় উপন্যাস…
“রাঙাদা”। কে এই রাঙাদা? পদ্মশ্রী প্রাপক মাস্টার মশাইকে নিয়ে তৈরি এই উপন্যাস। যার নাম “রাঙাদা”। এক অনন্ত পথের পথিক সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিজীবনকে নিয়ে লেখক রাধামাধব মণ্ডল এই প্রথম লিখছেন না। এর আগেও তিনি শিল্পী রামকিঙ্করকে নিয়ে করেছেন কাজ। সে বই পর পর বেস্টসেলার হয়েছে কলকাতা বইমেলাতে। “চিত্রী রামকিঙ্কর” নামের সেই বইটি লেখককে দিয়েছে পরিচিতি। এবার একেবারেই অন্যরকম জীবন। গ্রামের মাস্টার মশাই-র দীর্ঘ লড়াই। সেই লড়াইকেই শব্দের তুলিতে আঁকবেন, শব্দশিল্পী। তবে লেখক এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাবলীল। কারণ দীর্ঘ দিন খুব কাছ থেকে দেখছেন গ্রামের মাস্টার মশাইকে।

পড়াশোনা করার সৌভাগ্যও হয়েছে লেখকের মাস্টার মশাই-র কাছ থেকে। সদাই ফকিরের পাঠশালা কিংবা মাস্টার মশাই-র সাধনক্ষেত্র ভুলিঘরকে ঘিরে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের সকাল সন্ধ্যার কলতান ছুঁয়ে গেছে লেখককে। এছাড়াও লেখকের প্রয়াত পিতাকে খুবই স্নেহ করতেন এক টাকার মাস্টার মশাই। বাবার হাত ধরেই প্রথম দেখা মাস্টার মশাইকে। এক অন্যরকম জীবন।
এক অন্ধকার জয়ের লড়াই। একা একাই লড়ে গেলেন গোটা জীবন রামনগরের মাস্টার মশাই। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের প্রত্যন্ত এক গ্রাম রামনগরের মাস্টার মশাই-র পদ্মশ্রী পাওয়ার গল্প। শুধু কি গল্প? এক মস্ত মহা জীবন যাপনের উপলব্ধি নিয়ে লেখকের এই লেখা। জীবনকে যে খেলা এগিয়ে নিয়ে গেছে, এক স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে। মাস্টার মশাই সেই কোন ছোট বেলায় হারিয়েছেন বাবাকে। তখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। বাবার কর্মময় পরিচিতি এখন আর তেমন মনে নেই। কেবল মাকে আঁকড়ে ধরেই, এক জীবনের লড়াই, বেড়ে ওঠা।

বাংলার গ্রামে জন্মেও আজ গোটা দেশ তাঁকে চেনে। তিনিই এখন প্রতিষ্ঠান। রামনগরের সে দিনের জমিদার শ্যামাপদ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী আলোকলতার প্রথম সন্তান সুজিত চট্টোপাধ্যায়ের মহাজীবনের গল্প লিখছেন এলাকার এক কৃতি সন্তান সুলেখক রাধামাধব মণ্ডল। সদাই ফকিরের পাঠশালায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা পার করা, এক টাকার মাস্টার মশাই। তাঁর জন্ম পরাধীন ভারতবর্ষের ১৯৪৪ সালের ৩ এপ্রিল। কাছে থেকে দেখেছেন জীবনের উঠানে দাঁড়িয়ে, নিরন্ন গ্রামের মানুষের নানান অসুবিধা। ১৯৬৫ থেকে পড়িয়েছেন রামনগরের স্কুলে। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য, অন্ন, বাসস্থানহীন দুর্বিষহ জীবন, তাঁকে ঘুমাতে দেয়নি রাতের পর রাত।
নিজের মাটি, আর প্রিয় ছাত্রদের নিয়েই তাঁর দীর্ঘ লড়াই এর পথ। সে পথ জীবনের নাটচালায় বদলেছে আর আঁধার পেড়িয়ে দেখেছে আলো। অন্ধকার পেরিয়ে আসা সেই মহাজীবনের আলোর খোঁজ নিয়েছেন লেখক। আগামী আলোর উৎসবের আগেই সেই উপন্যাস কলকাতার এক নামী প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত হতে চলেছে।

Click here for follow us on facebook — Ektara Bangla