রাধামাধব মণ্ডল :
ছেলে ছুটির মেজাজে। পুকুর পাড়ে বসে ধরছে মাছ। আর মাস্টারের চোখে ঘুম নেই। তিনি প্রচার চান না, তিনি ঘুরছেন ছাত্রদের (student) বাড়ি বাড়ি। তার কথা কেউ বলুক, এটা তিনি পছন্দ করেন না তেমন। তিনি কাজ করেন। বিশ্বাস করেন কাজকে। তার ছাত্রদের স্কুলমুখী করতে এমনই উদ্যোগ নিলেন আউশগ্রাম টু ব্লকের এড়ালে অবস্থিত এড়াল অঞ্চল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। এলাকার ১৪-১৫ টি গ্রামের ছেলেমেয়েরা এই স্কুলে পড়াশোনা করে। কয়েক সপ্তাহ ধরে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, নিজের মোটরবাইক চেপে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন।
কারণটা কী? কেউ বলছেন ছাত্র ছাত্রীদের খবর নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ বলছেন কয়েকজনকে ডেকে ডেকে ফর্ম ফিলাপ করালেন।
এড়াল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এড়াল, জয়রামপুর এবং বোলপুর গ্রাম গুলোতে গিয়ে গিয়ে ১৭ জন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করান তিনি। মাস্টার মশাই দেখছেন, তখন কেউ পুকুরে মাছ ধরছে। তো কেউ বাড়ির গৃহকার্যে যুক্ত। পড়াশোনার পরিবেশটাই যেন কেড়ে নিয়ে গেছে করোনা। দীর্ঘ করোনা কালে সকলেই যেন স্কুল ছুট।
এড়ালের শিউলি বোলপুরের ছাত্রী সুরভীতা বাগ্দী , বাহাদুর পুর গ্রামের রাম সরেণ, রমেশ বাউড়ি, এড়াল গ্রামের বিক্রম বাউড়ি, এড়াল দক্ষিণ পাড়ার সোনালি কর্মকার, জয়রামপুর গ্রামের অভীক বাগ্দী, সাথী বাগ্দীদের বাড়িতে গিয়ে দুদিন ধরে ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন এড়াল হাইস্কুলের মাস্টার মশাই। এড়াল অঞ্চল হাইস্কুলের শিক্ষকরা অবশ্য এবিষয়ে বেশই খুশি। স্কুলের পার্শশিক্ষক কাঞ্চন পাল, লাইব্রেরিয়ান সেখ কামালউদ্দিনরাও এবিষয়ে প্রধান শিক্ষককে সাহায্য করছেন। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এড়াল অঞ্চল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মিলন ভট্টাচার্য বলেন, “এসব কিছুই নয়। দীর্ঘ দিন ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনার বাইরে রয়েছে। তাদের একটু খোঁজখবর নিচ্ছি। এটা এমন কিছু নয়। এটা শিক্ষকদেরই কাজ।”
Click here for follow us on facebook — Ektara Bangla