রাধামাধব মণ্ডল :
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার পরই জনসংযোগ সারতে, বিশেষ মিটিং এর আয়োজন করে আউশগ্রাম থানা। মূলত আউশগ্রাম থানার ছোড়া ফাঁড়িতে এই মিটিংটি হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৬ টাই।
মিটিংএ উপস্থিত ছিলেন ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার ভেদিয়া, রামনগর এবং অমরপুর এলাকার সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, সমাজকর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিনের প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি, ডিএনটি সৌরভ চৌধুরী, আউশগ্রাম থানার আই সি উত্তম মণ্ডল এবং ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ও সি পঙ্কজ নস্কর।
ছোড়া ফাঁড়ির নিজস্ব বিল্ডিং এ বৃহস্পতিবারের এই জনসংযোগ মিটিংএর পৌরোহিত্য করেন ডিএসপি এণ্ড ডিএনটি সৌরভ চৌধুরী। সেইসঙ্গে জনসংযোগের মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আউশগ্রাম থানার আইসি উত্তম মণ্ডল। এদিনের মিটিং এর আয়োজন করেন ছোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ও সি পঙ্কজ নস্কর।
আসন্ন ঈদুরজোহা উপলক্ষ্যে, শান্তিপূর্ণ ভাবে উৎসবকে কাটানোর জন্যই মূলত এদিনের বৈঠকের মূল আলোচনা, সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা করা হয় এলাকার শান্তি, শৃঙ্খলা এবং প্রশাসনকে সর্বতোভাবে সাহায্য করার জন্য সাধারণ নাগরিকদের কাছে আহ্বান জানানোও হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত এক টাকার শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায়, রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুকুমার আঁকুড়ে, রামনগরের বিশিষ্ট সমাজকর্মী অর্ঘ্য বিশ্বাস, আউশগ্রাম টু ব্লকের বিডিএমও ভবানীপ্রসাদ নন্দী, গোলাম মোল্লা, ভেদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অজিত মণ্ডল, সেখ নাসির, দ্বীপচন্দ্রপুরের মৌলানা সেখ আতাউল্লা, পুবারের মৌলানা আব্দুল ওদুত মন্ডল, সফিকুল রহমানরা।
জনসংযোগ সভার শুরুতেই বক্তব্য রাখেন আউশগ্রাম থানার আইসি উত্তম মণ্ডল, তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এই রোদে কেউ ফাঁকা জায়গায় নামাজ পরবেন না। আর সকাল ৮ টার মধ্যে চেষ্টা করবেন নামাজ শেষ করতে। গোটা বাংলায় এক প্রকার অশুভ শক্তি কাজ করছে। তাদের এড়িয়ে চলুন। কোনো ঝামালায় জড়াবেন না, উৎসবের দিনটিতে। অনেকেই চাইছেন, ঝামালা পাকাতে। সেটা কিছুতেই করবেন না, প্রয়োজনে আমাদের সাহায্য নেবেন। জানাবেন, আমরা সহযোগীতা করবো।”
বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যেবেলার পুলিশের এই সভায় বক্তব্য রাখেন, ছোড়া ফাঁড়ির ওসি পঙ্কজ নস্কর। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে সমন্নয়ের এই সভা। উৎসব যার হোক, আনন্দ সবার। আপনাদের আনন্দে, নিরাপদে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।”
এরপর বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবী গোলাম মোল্লা। তিনি বলেন, “উৎসবকে কেন্দ্র করে, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। কোনো দিন আউশগ্রামে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
এরপর বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যেবেলার শেষ বক্তা ছিলেন ডিএসপি এণ্ড ডিএনটি সৌরভ চৌধুরী। তিনি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেষ বক্তা হিসেবে বলেন, “কোনো অশান্তি কেউ তৈরি করলে, আমাদের জানাবেন। চাঁদের এই উৎসবে, সকলেই আনন্দ করুণ। কোনো অশান্তি নয়।” এরপরই এদিনের মতো আলোচনা শেষ হয়। তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৌলানারা বক্তব্য রাখেন।
Click here for follow us on facebook — Ektara Bangla