পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে শুরু হল ‘গুরু শিষ্য পরম্পরা ২০২২’ এর অনুষ্ঠান, বর্ধমানে

রাধামাধব মণ্ডল :

পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের তত্ত্বাবধানে সহজিয়া ফাউন্ডেশন এর ‘গুরু শিষ্য পরম্পরা’ অনুষ্ঠান, বর্ধমানে। আশপাশ গ্রাম থেকে আসছেন বিভিন্ন মানুষের দল, অনুষ্ঠান দেখতে।

পূর্ব বর্ধমান মোহনপুরের শ্মশান সংলগ্ন, কিংবদন্তী শ্রীখোল বাদক তিলক মহারাজের আশ্রমটিতে চলছে গরমকে উপেক্ষা করে পূর্বাঞ্চল সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের ‘গুরু শিষ্য পরম্পরা ২০২২’ প্রকল্পটির শুভ উদ্বোধন হয়ে গেল শুক্রবার। শুক্রবারের এই অনুষ্ঠানটি হয় সারাদিন ধরে। এমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির সামগ্রিক উদ্যোগে এবং আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন কলকাতার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।

সংস্থাটির নাম সহজিয়া ফাউন্ডেশন। সংস্থার কর্ণধার জানাচ্ছেন, পূর্ব বর্ধমানের মোহনপুরের এই শ্মশানের আশ্রমটিতে আগামী দু’বছর তিলক মহারাজের তত্ত্বাবধানে চলবে এই শ্রীখোল বাদন শিক্ষাকেন্দ্রটি। তার অধীনে থাকবেন দুজন সহযোগী যন্ত্রশিল্পী এবং ১০ জন শিক্ষার্থী বলেও জানা গেছে সংস্থার পক্ষ্য থেকে। বাংলা তথা ভারতের প্রাচীন লোকসংস্কৃতির পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই EZCC – র এই বিশেষ লোকগানের চর্চাক্ষেত্র তৈরির উদ্যোগ।

শুক্রবারের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ‘লাল পাহাড়ীর দেশে যা’ গানটির রচয়িতা বিখ্যাত কবি অরুণ চক্রবর্তী, লোককবি বাসু পাল, বিশিষ্ট শিক্ষক হারাধন ঘোষ, সমাজকর্মী দুলাল বাগ, কলকাতার ‘বাউলা’ লোকগানের দলের মূল গায়েন সুমন ব্রহ্মচারি, শ্যামল গায়েন এবং সহজিয়া ফাউন্ডেশনের কর্ণধার, জি বাংলা সারেগামাপা-র লোকসঙ্গীতের প্রশিক্ষক দেব চৌধুরীও।

বাংলা তথা পূর্ব ভারতের বিভিন লোকসঙ্গীতের ধারা আর তার ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য EZCC এবং সহজিয়া ফাউন্ডেশনের কাজ ইতিমধ্যেই অনেকের নজরে এসেছে। এভাবেই লোকসংস্কৃতির পরম্পরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হোক, এই ধারাবাহিক চর্চার মাধ্যমে অনুষ্ঠান মঞ্চে বললেন দেব চৌধুরী, অরুণ চক্রবর্তীরা। একেবারেই ঘরোয়া এবং প্রাণান্তকর পরিবেশের এই অনুষ্ঠান দেখতে এলাকার মানুষরাও এসে উপস্থিত হন।

Click here for follow us on facebook — Ektara Bangla