পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে আদিবাসীদের উপর সচেতনতার শিবির জেলা পুলিশের উদ্যোগে

রাধামাধব মণ্ডল :

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে আউশগ্রাম থানার আয়োজনে আদিবাসী সমাজের কু-সংস্কারের বিরুদ্ধে বিশেষ সচেতনতা শিবির হল শুক্রবারের বৃষ্টি ভেজা বিকেলে আউশগ্রামের বননবগ্রামের যদুগড়িয়ার ফুটবলমাঠে। এদিনের বিশেষ সচেতনতা শিবিরে বক্তব্য রাখেন বিডিও আউশগ্রাম ১ ব্লকের অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, জয়েণ্ট বিডিও, ওসি গুসকরা নিতু সিং, আইসি আউশগ্রাম তানাজী দাস, জেলা পরিষদের সদস্য সফিউল আলম মণ্ডল, এরপরই বক্তব্য রাখতে ওঠেন আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার।

শিবিরে বক্তব্য রাখছেন স্থানীয় বিধায়ক

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার আদিবাসী ভাইরা এখন অনেক বেশি এগিয়ে। তাদের মধ্যে কু-সংস্কারের প্রবণতা কমছে। এই কু-সংস্কারের আঘাতে আমাদের বহু মানুষ, আদিবাসী মানুষকে হারিয়েছি। আমাদের মধ্যে একটি সৌহার্দ পূর্ণ ব্যবহার থাকবে। সকলে মিলেই এই কাজটি করতে হবে। আগামীতে আউশগ্রামকে আরও সুন্দর করে তুলতে হবে।

শিবিরে উপস্থিত জনগণ

এরপরই বক্তব্য রাখেন শোকাডাঙার সমাজবন্ধু মিহির সরেণ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “ডান বলে আমাদের কিছুই নেই। অন্ধকার থেকে সরে এসে আমরা চলুন আলোয় ফিরি। আমাদের মধ্যে এখন শিক্ষা এসেছে। এটি একটি মানষিক রোগ।” বৃষ্টি ভেজা এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা মণি মুরমু। এরপর বক্তব্য রাখেন
ডিএসপি বীরেন্দ্র পাঠক, কুসংস্কারক কী, সংস্কার কী তা আমাদের প্রথমে জানতে হবে। যা আমাদেরকে ভালো পথে চালিত করে, তা সুসংস্কার। আর খারাপ পথে চালিত করলে তা হল কু-সংস্কার। আমিও গ্রামের ছেলে।

আমার গ্রামেও কু-সংস্কার ছিল। সাপে কামড়ালে ওঝার কাছে যাও, এটা ঠিক করে নেবেন না। আপনারা হসপিটালে যান। সাপে কামড়ালে চিকিৎসা করান দ্রুত। ফ্রিতে চিকিৎসা হয় সরকারি হাসপাতালে। দ্বিতীয়টি হল ডাইনি প্রথা। এটিও মানষিক একটি সমস্যা। এটিরও চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। ওঝা, গুনিন এর এই নিদান মেনে নেবেন না। এই ধরণের সমস্যা কেবল আদিবাসীদের সমাজে। এটার থেকে বেরুতে হবে আমাদের।
এই পরই যদুগড়িয়াতে একটি সচেতনতার বার্তা দিতে নাটক অনুষ্ঠিত হয়।

Click here for follow us on facebook — Ektara Bangla